শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
সাকিবুজ্জামান সবুর:
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলায় একটি এতিমখানায় এতিম না থাকা সত্ত্বেও সরকারি বরাদ্দকৃত ১৭ লাখ ৫০ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে এতিমখানার সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৩০ আগস্ট) দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় হেতালবুনিয়া শাখায়েতিয়া শামসুল হক এতিমখানার সাধারণ সম্পাদক ও হেতালবুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. মনিরুল ইসলামকে আসামী করা হয়। মনিরুল ইসলাম উপজেলা সদর ইউনিয়নের হেতালবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কাঠালিয়া উপজেলার হেতালবুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. মনিরুল ইসলাম তার নিজের গ্রামে একটি এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩-২০১৪ সালে ক্যাপ্টেনশন গ্রান্ট মঞ্জুর করা হয়। ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রেজিস্টারে ৭৯ জন এতিম ভর্তির তথ্য পাওয়া যায়। পরে ২০২১ সালের ২৪শে নভেম্বর কাঠালিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এসএম দেলোয়ার হোসেন ওই এতিমখানা পরিদর্শনকালে কোন এতিম নিবাসী না থাকার তথ্য পায়। এ সময় তিনি এতিমখানার ক্যাপিটেশন গ্রান্ট বন্ধ করে দেন।
এরপরে দুদক ওই এতিমখানায় অভিযান চালায়। চলিত বছরের ১০ জানুয়ারি অভিযানকালে ওই এতিমখানায় কোন এতিম নিবাসী পাওয়া যায় না। অথচ এতিমখানা কর্তৃপক্ষ দুই অর্থ বছেরে ৭৬ জন এতিম দেখিয়ে ১৭ লাখ ৫২ হাজার ২০০ টাকা সরকারি বরাদ্দ আনেন এবং ওই টাকা পুরোটাই এতিমখানার সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। দুদকের অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়ার পরে প্রতারনার মাধ্যমে এতিম না থাকা সত্ত্বেও ভূয়া এতিম দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করায় এতিমখানার সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪০৯/৪২০ ধারায় (মামলা নং-৩/২০২৩) মামলা করা হয়।
মামলার বাদী দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন বলেন, অনুসন্ধানকালে দুদক ওই এতিমখানায় অর্থআত্মসাতের তথ্য পায়। এতিম না থাকা সত্তে¡ও এতিমের ভ‚য়া নামে বরাদ্দ এনে তা আত্মসাৎ করেন সাধারণ সম্পাদক। মামলাটি দায়েরের পর থেকে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন : ঝালকাঠি থেকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হলো ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি